আজ থেকে ছয় দিনের সরকারি ছুটি, ফাঁকা হচ্ছে রাজধানী

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে গতকাল ছিলো সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেষ কর্মদিবস। গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবসে সরকারি কর্মকতা-কর্মচারীদের উপস্থিতি ও কর্মচাঞ্চর‌্য ছিল স্বাভাবিক দিনের মতো। এদিকে ঈদ উপলক্ষে টানা ছয় দিনের ছুটতে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ।

শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে টানা ছয় দিনের সরকারি ছুটি। সে ক্ষেত্রে রাজধানী কতটা ফাঁকা হচ্ছে, সে সম্পর্কে আজই ধারণা পাওয়া যাবে। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আগামী ২ বা ৩ মে মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

আজ ২৯ এবং আগামীকাল ৩০ এপ্রিল সপ্তাহিক ছুটি। এরপর ১ মে হচ্ছে মে দিবসের ছুটি। ৩ মে ঈদের দিন ধরে ২, ৩ ও ৪ মে ঈদের ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। সেই হিসাবে আগামী ৫ মে বৃহস্পতিবার অফিস করতে হবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

তবে ৫ মে কেউ ছুটি নিলে তিনি টানা ৯ দিনের ছুটি পেয়ে যাবেন। সে কারণে ৫ মে ছুটি ঘোষণা করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা ছিল। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সেই সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে।

এদিকে আজ থেকে ঈদ যাত্রা পূর্ণোদ্যমে শুরু হবে—এমন সম্ভাবনা থেকে গতকালই অনেকে রাজধানী ছেড়েছে। সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার গুরুত্বপূণ সড়ক গুলোতে যানজট ছিলে লক্ষ্যণীয়।

প্রতি ঈদের আগে দেশের বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ সড়ক গুলোতে থাকে উপচে পরা ভিড়। এর ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যায় রাস্তায়। এমন দুর্ভোগ থেকে পরিবারের সদস্যদের রেহায় দিতে অনেকে আগেই বাড়ি পাঠিয়ৈ দিয়েছেন।

শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে রাজধানীবাসী। দেশে বিভিন্ন সড়কে ঘর মুখো মানুষের ঢল। সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে ১৫ কিলোমিটার যানজট। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের ঢল।

এদিকে আজ থেকে ঈদ যাত্রা পূর্ণোদ্যমে শুরু হবে—এমন সম্ভাবনা থেকে গতকালই অনেকে রাজধানী ছেড়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের আগেই গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ঝক্কি এড়াতে তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের আগেই চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

এর মধ্যে গত বছর করোনার সংক্রমণ বেশি থাকায় ঢাকা থেকে অনেকেই গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ঈদ উৎযাপন করতে পারে নি। যারা গতবছর গ্রামে গিয়ে ঈদ করতে পারেনি তারা এবার আগেই পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে পাঠিয়ৈ দিয়েছেন বলে জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের এক কর্মকতা।